METHOD-
বাংলা
বিভাগ
– ক
মান-
২
‘মাতৃভাষা মাতৃদুগ্ধসম' কথাটি ব্যাখ্যা করুন।
মাতৃভাষা শৈশবে শেখা ভাষা, যেমন শিশুর প্রথম খাদ্য মাতৃদুগ্ধ।
এটি সহজে আত্মস্থ হয় এবং ব্যক্তির চিন্তা-চেতনা, সংস্কৃতি ও আবেগ প্রকাশের মাধ্যম।
আদর্শ শিখন নক্সার সংজ্ঞা দিন।
শিক্ষণ-নক্সা হলো একটি পরিকল্পিত কাঠামো যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট
লক্ষ্য অর্জনের জন্য শিক্ষার উপাদান ও পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়।
আদর্শ শিখন-নক্সার দুটি বৈশিষ্ট্য লিখুন।
1.
উদ্দেশ্যনির্ভর:
শিক্ষার্থীদের শেখার লক্ষ্য স্পষ্ট থাকে।
2.
পরিকল্পিত:
সময়, পদ্ধতি ও মূল্যায়ন আগেই নির্ধারিত থাকে।
একপাক্ষিক শ্রবণ বলতে কী বোঝায়? উদাহরণ দিন।
শ্রোতা শুনলেও প্রতিক্রিয়া জানায় না।
উদাহরণ: খবরের কাগজ পড়ে শিক্ষক শ্রেণিতে পড়া ব্যাখ্যা করলে শিক্ষার্থীরা চুপচাপ
শুনে।
কবিতা পাঠদানের দুটি উদ্দেশ্য লিখুন।
1.
শিক্ষার্থীদের কাব্যিক সৌন্দর্য উপলব্ধি করানো।
2.
শব্দচয়ন ও ছন্দের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করা।
গদ্য পাঠদানের দুটি উদ্দেশ্য লিখুন।
1.
শিক্ষার্থীদের বিশ্লেষণী ক্ষমতা বাড়ানো।
2.
গদ্যের ভাব ও চরিত্র বোঝার দক্ষতা তৈরি করা।
ত্রি-ভাষা সূত্র কী?
বিদ্যালয়ে তিনটি ভাষা শেখানো হয়: মাতৃভাষা, হিন্দি/আঞ্চলিক
ভাষা ও ইংরেজি।
পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যালয় শিক্ষাক্ষেত্রে 'দ্বিতীয়
ভাষার' ধারণা দিন।
পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যালয়ে বাংলা বা ইংরেজি শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষা
না হলে সেটি দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে শেখানো হয়।
পারদর্শিতার অভীক্ষার সংজ্ঞা দিন।
শিক্ষার্থীর কোনো নির্দিষ্ট বিষয় বা দক্ষতায় দক্ষতার স্তর
নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষা করা হয়।
বাংলা ব্যাকরণ শিখনে মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্তরের
শিক্ষার্থীদের অনীহার দুটি কারণ বিবৃত করুন।
1.
ব্যাকরণ শেখার পদ্ধতি কঠিন ও একঘেয়ে।
2.
ব্যবহারিক উদাহরণের অভাব।
বাংলা ভাষায় কতগুলি উপভাষা আছে ও কি কি?
বাংলা ভাষার তিনটি প্রধান উপভাষা:
1.
রাঢ়ী
2.
বাঁকুড়া-বরেন্দ্রী
3.
চাটগাঁইয়া
বিদ্যালয়ে ভাষা শিক্ষায় নাটক শিক্ষাদানের দুটি
উদ্দেশ্য উল্লেখ করুন।
1.
শিক্ষার্থীদের ভাষা দক্ষতা ও উচ্চারণ উন্নত করা।
2.
অভিনয়ের মাধ্যমে ভাব প্রকাশের ক্ষমতা বৃদ্ধি।
ভাষা শিক্ষণ দক্ষতা বলতে কী বোঝায়?
শ্রবণ, বলা, পড়া এবং লেখা—এই চারটি দক্ষতার মাধ্যমে ভাষা
শিক্ষা অর্জন করা।
ভাষাভিত্তিক অভীক্ষার দুটি গুরুত্ব উল্লেখ করুন।
1.
শিক্ষার্থীর ভাষা দক্ষতা মূল্যায়ন করা।
2.
দুর্বলতা নির্ণয় করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া।
মাতৃভাষা শিক্ষণের দুটি উদ্দেশ্য লিখুন।
1.
শিক্ষার্থীর আত্ম-প্রকাশের ক্ষমতা বাড়ানো।
2.
নিজের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সাথে পরিচয় করানো।
মাতৃভাষার সংজ্ঞা দিন।
যে ভাষা শিশুর জন্মের পর পরিবারের কাছ থেকে শেখে, সেটিই তার
মাতৃভাষা।
মাধ্যমিক বিদ্যালয়স্তরে ভাষা শিক্ষণের দুটি
উদ্দেশ্য লিখুন।
1.
ভাষার ব্যাকরণ ও শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ করা।
2.
ভাব প্রকাশের দক্ষতা তৈরি করা।
সরব পাঠের দুটি সুবিধা উল্লেখ করুন।
1.
উচ্চারণ ও শুদ্ধতা উন্নত হয়।
2.
শ্রুতিমধুর ও মনোযোগী পাঠের অভ্যাস গড়ে ওঠে।
বিভাগ
– খ
মান-
৫
পাঠ্যপুস্তক কী? এর কার্যসমূহের উল্লেখ করুন।
পাঠ্যপুস্তক হলো
এমন একটি গ্রন্থ যা একটি নির্দিষ্ট বিষয়বস্তুকে শ্রেণির পাঠ্যক্রম অনুযায়ী ধারাবাহিকভাবে
উপস্থাপন করে। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য সহজবোধ্য এবং বোধগম্য ভাষায় রচিত হয়।
কার্যসমূহ:
1.
শিক্ষার প্রধান মাধ্যম:
পাঠ্যপুস্তক বিষয়বস্তুর কাঠামোগত উপস্থাপন করে, যা পাঠদান সহজ করে।
2.
তথ্য পরিবেশন:
পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে বিষয় সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শিক্ষার্থীরা পায়।
3.
উদ্দেশ্য নির্ধারণ:
পাঠ্যপুস্তক শিক্ষার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য স্পষ্টভাবে নির্দেশ করে।
4.
স্বনির্ভর শিক্ষা:
পাঠ্যপুস্তক শিক্ষার্থীদের স্বনির্ভরভাবে পড়তে ও বুঝতে সাহায্য করে।
5.
মূল্যায়ন সহজতর করা:
পাঠ্যপুস্তকের অনুশীলনী শিক্ষার্থীদের জ্ঞান মূল্যায়নের সুযোগ দেয়।
6.
তত্ত্ব ও অনুশীলনের সংমিশ্রণ:
তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক জ্ঞান সমানভাবে উপস্থাপন করে।
বাংলা বানান ভুলের পরিবেশগত কারণগুলি লিখুন।
1.
শ্রবণ বিভ্রান্তি:
অনেকে কথ্য ভাষার উচ্চারণ অনুসারে শব্দের বানান ভুল করে।
উদাহরণ: শিল্পী শব্দের পরিবর্তে সিল্পী।
2.
প্রমিত ভাষার অনুশীলনের অভাব:
পরিবার বা সমাজে প্রমিত বাংলা ভাষার চর্চা না হলে শিক্ষার্থীরা ভুল শেখে।
3.
শিক্ষক-শিক্ষাদানের সীমাবদ্ধতা:
শিক্ষকের পর্যাপ্ত সময় ও মনোযোগ না দিলে শিক্ষার্থীরা বানান ভুল করে।
4.
পরিবার ও সমাজের প্রভাব:
আঞ্চলিক ভাষা ও উপভাষার প্রভাব পড়ে বানানে।
5.
পাঠ্য উপকরণের অভাব:
বানান শিক্ষার জন্য মানসম্মত উপকরণ না থাকলে ভুল হয়।
বাংলা বানান ভুলের ভাষাতাত্ত্বিক কারণগুলি দৃষ্টান্তসহ
সূত্রবদ্ধ করুন।
1.
হ্রস্ব ও দীর্ঘ স্বর বিভ্রাট:
উদাহরণ: আশা শব্দের পরিবর্তে আশাা।
2.
যুক্তবর্ণ বিভ্রাট:
অনেক শিক্ষার্থী যুক্তবর্ণের সঠিক ব্যবহার জানে না।
উদাহরণ: শব্দ শব্দের পরিবর্তে সব্দ।
3.
তৎসম ও তদ্ভব বিভ্রাট:
উদাহরণ: হৃদয় শব্দের পরিবর্তে রিদয়।
4.
বর্ণ বিভ্রাট:
শব্দের বর্ণ ভুল ব্যবহারের কারণে বানান বিভ্রাট হয়।
উদাহরণ: ঘনিষ্ঠ শব্দের পরিবর্তে গনিষ্ঠ।
5.
শব্দের অনুরূপতা:
উচ্চারণের কারণে অনুরূপ শব্দের বানান ভুল হয়।
উদাহরণ: নাম ও নামা।
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের পারদর্শিতার অভীক্ষা
পত্রে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের দৃষ্টান্তসহ গুরুত্ববিচার করুন।
1.
সঠিক/ভুল প্রশ্ন:
উদাহরণ: “বাংলা ভাষার উৎস সংস্কৃত ভাষা।” সঠিক/ভুল।
2.
বহু বিকল্প প্রশ্ন (MCQ):
উদাহরণ: রামায়ণ কে রচনা করেছেন?
ক) বাল্মীকি খ) তুলসীদাস গ) কালিদাস ঘ) কৃত্তিবাস।
3.
মিল করার প্রশ্ন:
উদাহরণ:
ক) মাইকেল মধুসূদন দত্ত - ১) নাটক
খ) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় - ২) উপন্যাস
4.
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:
উদাহরণ: “বাংলা ভাষার প্রথম কবি কে?”
গুরুত্ব:
- দ্রুত
মূল্যায়ন: শিক্ষার্থীর জ্ঞান ও দক্ষতা দ্রুত যাচাই
করা যায়।
- বিষয়বস্তুর
বিস্তৃতি: একই পরীক্ষায় বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন
রাখা যায়।
- সঠিক
পরিমাপ: শিক্ষার্থীর শুদ্ধতা ও নির্ভুলতা নির্ধারণ
করা যায়।
বাংলা ভাষায় নাটক পাঠদান পদ্ধতির বর্ণনা করুন।
1.
প্রাথমিক আলোচনা:
o নাটকের
নাম, রচয়িতা ও চরিত্র বিশ্লেষণ।
o শিক্ষার্থীদের
মধ্যে আগ্রহ তৈরি করা।
2.
উপস্থাপনা:
o নাটকের
নির্বাচিত অংশ শিক্ষকের মাধ্যমে পাঠ।
o শিক্ষার্থীদের
দ্বারা অংশ বিশেষ পাঠ করানো।
3.
চরিত্রাভিনয়:
o শিক্ষার্থীদের
নাটকের চরিত্র অনুযায়ী অভিনয় করতে উৎসাহিত করা।
4.
বিস্তারিত বিশ্লেষণ:
o সংলাপ,
চরিত্রের আচরণ ও কাহিনির গভীরতা নিয়ে আলোচনা।
5.
মূল্যায়ন:
o শিক্ষার্থীদের
অভিনয় ও পাঠদানের দক্ষতা যাচাই।
বাঙালির জীবন ও শিক্ষাক্ষেত্রে মাতৃভাষার গুরুত্ব
বিচার করুন।
1.
চিন্তা ও অভিব্যক্তির মাধ্যম:
মাতৃভাষা মানুষের ভাবনা ও অনুভূতি প্রকাশের প্রধান মাধ্যম।
2.
সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সংরক্ষণ:
মাতৃভাষার মাধ্যমে জাতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সংরক্ষিত হয়।
3.
সহজ শিক্ষণ:
মাতৃভাষায় শিক্ষাগ্রহণ সহজ এবং বোধগম্য।
4.
সাহিত্য চর্চা:
সাহিত্য, ইতিহাস ও সংস্কৃতি চর্চায় মাতৃভাষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
5.
চাকরি ও কর্মসংস্থান:
মাতৃভাষার দক্ষতা স্থানীয় কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ায়।
6.
জাতীয় একতা:
মাতৃভাষা দেশের নাগরিকদের মধ্যে ঐক্য ও জাতীয় চেতনা গড়ে তোলে।
শিখন-নক্সার ধাপগুলি সংক্ষেপে বিবৃত করুন।
1.
উদ্দেশ্য নির্ধারণ:
শিক্ষাদানের প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা হয়।
2.
বিষয়বস্তু নির্বাচন:
পাঠ্যক্রমের উপযোগী বিষয়বস্তু নির্বাচন।
3.
শিক্ষাদান পদ্ধতি:
পাঠদানে উপযুক্ত পদ্ধতি ও কৌশল নির্বাচন করা।
4.
পাঠ পরিকল্পনা:
শ্রেণিকক্ষে সময় ও বিষয়বস্তুর কাঠামো তৈরি করা।
5.
সাংগঠনিক কৌশল:
কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উপযুক্ত কৌশল অবলম্বন।
6.
মূল্যায়ন:
শিক্ষার্থীদের অর্জিত জ্ঞান মূল্যায়ন করা।
7.
ফিডব্যাক:
মূল্যায়নের ভিত্তিতে পাঠ পরিকল্পনা সংশোধন করা।
বিভাগ
– গ
মান-
১০
কবিতা কী? বিদ্যালয়ে কবিতা শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যগুলি
কী কী? দৃষ্টান্তসহ শ্রেণীকক্ষে কবিতা পড়ানোর পদ্ধতি আলোচনা করুন।
কবিতা: কবিতা হলো সাহিত্য
রচনার একটি শৈল্পিক মাধ্যম, যেখানে ছন্দ, অলংকার, চিত্রকল্প ও শব্দের নান্দনিক বিন্যাসের
মাধ্যমে ভাব প্রকাশ করা হয়।
বিদ্যালয়ে কবিতা শিক্ষাদানের উদ্দেশ্য:
1.
শ্রুতিমধুর ভাষা শেখানো:
শিক্ষার্থীদের সুন্দর ও শুদ্ধ ভাষার ব্যবহার শেখানো।
2.
আবেগ ও অনুভূতি জাগ্রত করা:
কবিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মানবিক ও নৈতিক মূল্যবোধের বিকাশ।
3.
সাহিত্যচর্চার আগ্রহ সৃষ্টি:
কবিতা পাঠ শিক্ষার্থীদের সাহিত্য পড়ার আগ্রহ বাড়ায়।
4.
সৃজনশীলতার বিকাশ:
কবিতার মাধ্যমে কল্পনা ও চিন্তাশক্তির বিকাশ ঘটে।
5.
মনোযোগ ও স্মরণশক্তি বৃদ্ধি:
কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে স্মরণশক্তি ও মনোযোগ বাড়ে।
শ্রেণীকক্ষে কবিতা পড়ানোর পদ্ধতি:
1.
প্রাথমিক আলোচনা:
o কবির
পরিচিতি, কবিতার নাম ও প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আলোচনা।
o শিক্ষার্থীদের
আগ্রহ বাড়ানো।
2.
শ্রুতিমধুর পাঠ:
o শিক্ষক
প্রথমে কবিতা আবৃত্তি করবেন। উদাহরণ: জীবনানন্দ দাশের বনলতা সেন।
3.
অর্থ ও ভাব ব্যাখ্যা:
o প্রত্যেক
স্তবকের অর্থ সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা।
4.
ছন্দ ও অলংকার চিহ্নিতকরণ:
o কবিতার
ছন্দ, উপমা, রূপক চিহ্নিত করে আলোচনা।
5.
আবৃত্তি ও আলোচনা:
o শিক্ষার্থীদের
আবৃত্তি করানো ও তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করতে উৎসাহিত করা।
6.
মূল্যায়ন:
o সংক্ষিপ্ত
প্রশ্নোত্তর, কবিতার ভাব প্রকাশে রচনা লিখতে দেওয়া।
বাংলা বিষয়ে গ্রহণযোগ্য শিক্ষণ-শিখন সম্পদ সমূহের
শ্রেণিবিভাজন করুন এবং দৃষ্টান্তসহ প্রত্যেক শ্রেণির শিক্ষণ-শিখন সম্পদ ব্যবহারের সুবিধাগুলি
লিখুন।
শ্রেণিবিভাজন:
1.
প্রProjected উপকরণ:
o উদাহরণ:
ওভারহেড প্রজেক্টর (OHP), স্লাইড শো, ভিডিও ক্লিপ।
o সুবিধা:
শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ, শ্রুতিমধুর ও চাক্ষুষ উপস্থাপনা।
2.
অপ্রProjected উপকরণ:
o উদাহরণ:
বই, চিত্র, মানচিত্র, চার্ট।
o সুবিধা:
সহজলভ্য, পুনঃব্যবহারযোগ্য এবং শিক্ষার্থীরা সহজে ধারণা পায়।
3.
শ্রবণ উপকরণ:
o উদাহরণ:
অডিও টেপ, বক্তৃতা।
o সুবিধা:
শিক্ষার্থীদের শ্রবণ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও ভাষার সঠিক উচ্চারণ শেখা।
4.
দৃশ্য-শ্রবণ উপকরণ:
o উদাহরণ:
টিভি, ভিডিও, কম্পিউটার।
o সুবিধা:
শ্রবণ ও দেখার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সহজে শিখতে পারে।
5.
মানবসম্পদ:
o উদাহরণ:
শিক্ষক, অতিথি বক্তা।
o সুবিধা:
বিষয়ভিত্তিক ব্যাখ্যা ও সরাসরি প্রশ্নোত্তর পর্ব।
বাংলা ব্যাকরণ শিক্ষণ-শিখনের আধুনিক পদ্ধতি দৃষ্টান্তসহ
আলোচনা করুন। প্রসঙ্গত, ব্যাকরণ শিক্ষাদানের সমস্যাগুলি লিপিবদ্ধ করুন।
আধুনিক পদ্ধতি:
1.
যোগাযোগমূলক পদ্ধতি:
o ভাষা
ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাকরণ শেখানো হয়।
o উদাহরণ:
বাক্য গঠন করে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে ব্যাকরণ শিখানো।
2.
আবিষ্কারমূলক পদ্ধতি:
o শিক্ষার্থীরা
উদাহরণ দেখে নিজে ব্যাকরণ নিয়ম আবিষ্কার করে।
o উদাহরণ:
সন্ধি বিভক্তির নিয়ম উদাহরণ দিয়ে শিখানো।
3.
ক্রিয়াশীল পদ্ধতি:
o চর্চা
ও প্রয়োগের মাধ্যমে ব্যাকরণ শিক্ষণ।
o উদাহরণ:
ব্যাকরণ চর্চা খাতায় বিভিন্ন নিয়ম অনুসারে অনুশীলন।
সমস্যাগুলি:
1.
শিক্ষকের দক্ষতার অভাব:
শিক্ষকের আধুনিক পদ্ধতি সম্পর্কে জ্ঞান সীমিত।
2.
শ্রেণির সময় সংকট:
ব্যাকরণ শেখাতে যথেষ্ট সময়ের অভাব।
3.
শ্রেণিকক্ষে অনুশীলনের অভাব:
শিক্ষার্থীরা পর্যাপ্ত অনুশীলন করতে পারে না।
4.
নির্বাচিত উপকরণের অভাব:
আধুনিক শিক্ষণ উপকরণ ব্যবহার কম।
ভাষা ও সাহিত্য শিক্ষায় কবিতা পাঠদানের উদ্দেশ্য,
গুরুত্ব ও পদ্ধতি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করুন।
উদ্দেশ্য:
1.
শিক্ষার্থীদের ভাষার শুদ্ধ ব্যবহার শেখানো।
2.
আবেগ ও কল্পনাশক্তির বিকাশ।
3.
নান্দনিকতা ও শিল্পবোধ জাগ্রত করা।
গুরুত্ব:
1.
সাহিত্যের প্রতি আগ্রহ:
শিক্ষার্থীরা সাহিত্যের গভীরে যেতে আগ্রহী হয়।
2.
ভাষা দক্ষতা বৃদ্ধি:
কবিতা শিক্ষার্থীদের শব্দভাণ্ডার ও ভাষা শুদ্ধিকরণে সাহায্য করে।
3.
মননশীলতা ও চিন্তাশক্তির বিকাশ:
শিক্ষার্থীদের চিন্তা ও বিশ্লেষণ ক্ষমতা বাড়ে।
পদ্ধতি:
1.
কবির জীবন ও রচনার পটভূমি আলোচনা।
2.
কবিতা আবৃত্তি করে শিক্ষার্থীদের পাঠ করানো।
3.
ছন্দ, অলংকার ও ভাব ব্যাখ্যা করা।
4.
শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশে উৎসাহিত
করা।
ভাষা কাকে বলে? পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মাধ্যমিক
স্তরের পাঠক্রমে ভাষার স্থান ও গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করুন।
ভাষা: ভাষা হলো মানুষের
ভাব প্রকাশের মাধ্যম। এটি মৌখিক, লিখিত বা অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
ভাষার স্থান ও গুরুত্ব:
1.
চিন্তার প্রকাশ:
ভাষা চিন্তা বিনিময়ের প্রধান মাধ্যম।
2.
শিক্ষার ভিত্তি:
বাংলা ভাষা মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহণের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
3.
সাহিত্য চর্চা:
মাধ্যমিক স্তরে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য শিক্ষার মাধ্যমে নৈতিক ও মানসিক বিকাশ ঘটে।
4.
সংস্কৃতি সংরক্ষণ:
ভাষা শিক্ষার মাধ্যমে বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা হয়।
5.
ব্যক্তিত্ব বিকাশ:
শুদ্ধ ভাষা শেখার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ব্যাক্তিত্ব ও আত্মবিশ্বাস বাড়ে।